বশির আল-মামুন, চট্টগ্রাম : টানা ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের রেল পথে বিভিন্ন স্থানে ও বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।সেই সাথে পাহাড়ি ঢল নেমেছে ছড়া খাল গুলোতে। গত শুক্রবার দিনভর বৃষ্ট হলে রেল লাইন লাগোয়া পাহাড় গুলোর মাটি নরম হয়ে একাধিক স্হানে পাহাড় ধসে মাটি রেল বিটের উপর গিয়ে পড়েছে। এতে চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজারের ট্রেন যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এ রেল সড়কের লোহাগাড়ার চুনতী, চকরিয়ার আজিজ নগর, হারবাং ও রিংভং এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ের মাটি বৃষ্টির পানির সাথে গড়িয়ে পড়েছে রেল বিটের উপর। স্হানীয়রা কোদাল দিয়ে বিটের উপর থেকে কাঁদা মাটি সরাচ্ছে। এ কারণে রেল পথের ওপর মাটি পড়ে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। তবে মাটি সরিয়ে ফেলায় এ রুটে এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
অন্যদিকে ভারী বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাসে সীতাকুণ্ডে রেলপথে গাছ ভেঙে পড়েছে। সেটিও সরিয়ে নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, টানা ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ও চট্টগ্রামের চুনতীতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে যায়। পরে মাটি সরানোর পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন ঝোড়ো বাতাসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রেল লাইনের ওপর দুটি গাছ ভেঙে পড়েছে। দুপুরের দিকে এই দুটি গাছ ভেঙে পড়ে। কিছুক্ষণ পর গাছ দুটি সরিয়ে ফেলা হয়। এ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে পাহাড়ধসে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে সড়কের ৬ নম্বর ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় সড়কে যানবাহন ও পথচারী চলাচল না থাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।
সিডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী ও বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের প্রকল্প পরিচালক আসাদ বিন আনোয়ার বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তার পাশের পাহাড় থেকে মাটি ধসে রাস্তার ফৌজদারহাটগামী লেনের ওপর পড়ে।
সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাটি সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।
জানাগেছে বায়েজিদ বোস্তামীর শেরশাহ বাংলাবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণে কাটা হয়েছিল ১৬টি পাহাড়। দুই পাশে ৯০ ডিগ্রি খাড়া করে পাহাড়গুলো কাটা হয়।
উত্তর পাহাড়তলী মৌজা, হাটহাজারীর জালালাবাদ মৌজা এবং সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর মৌজায় এসব পাহাড় কাটা হয়েছিল। ফলে বৃষ্টি হলেই এই সড়কে প্রায়ই পাহাড় ধস হচ্ছে।
Leave a Reply